,

“নবীগঞ্জে ফসলি জমির মাটি কাটার নেতৃত্বে নজরুল-হামজা বাহিনী” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

গতকাল বুধবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ইং হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জের বাণী পত্রিকার ১ম পৃষ্টায় “নবীগঞ্জে ফসলি জমির মাটি কাটার নেতৃত্বে নজরুল-হামজা বাহিনী!” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি গোছর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। সংবাদের প্রথমেই বলা হয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলায় পরিবেশ আইন অমান্য করে অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা থামছেনা। নজরুল, হামজা, লিটন, মনু, আনোয়ার খাঁ, সুবেদ আলীর নেতৃত্বে একটি সংঙ্গবদ্ধ চক্র বৃহৎ পরিসরে মাটি কাটছে উপজেলার শতাধিক স্থান থেকে। কথাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ আমরা পরিবেশ আইন অমান্য করে অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটিনি। সংবাদের এক জায়গায় পৌর এলকাসহ প্রায় ৩৩টি গ্রামের নাম উল্লেখ করে শতাধিক স্থানের কথা বলা হয়েছে- যা কাল্পনিক ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা সংবাদটি সর্ম্পকে বলতে চাই, আমরা এক্সেভেটর মেশিন ভাড়া এনে যে সকল ব্যক্তি তাদের মালিকানাধীন জায়গা থেকে মাটি কাটাতে চান তাদের মাটি কেটে দেই। এর বেশি আমরা আর কিছু জানি না। মাটি বিক্রি হয় বা না কি হয় তা আমাদের জানা নেই। তবে আমরা যতটুকু জানি কৃষকরা তাদের জমি দু’ফসলা করতে এক থেকে মাটি কাটিয়ে থাকেন। এছাড়া যাদের জমি একটু উচু এবং ফসল হয় না তারা জমিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যও মাটি কাটিয়ে থাকেন। উল্লেখ্য, এসমস্ত মাটি মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, কবরস্থান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি-ঘরসহ জরুরী প্রয়োজনীয় জায়গায় ব্যবহার করা হয়। আমরা অবৈধ কোন কাজে জড়িত নই বা আমাদের দ্বারা কোন অবৈধ কাজ করা সম্ভবও নয়। আমরা কষ্ট করে হালাল ব্যবসা করে থাকি। আমাদের ব্যবসার সাথে ড্রাইবার, হেলপারসহ অসংখ্য গরীব দিনমজুর মানুষের রিজিক জড়িত। এতোদিন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করে আসলেও সম্প্রতি গুটি কয়েকজন সাংবাদিক আমাদের কাছ থেকে অনৈতিক ফায়দা না পেয়ে অতিরঞ্জিত করে আমাদের নাম জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমরা কোন সরকারী জায়গা, টিলা, পাহাড় কিংম্বা অবৈধ কোন জায়গায় আমাদের মেশিন পাঠাইনি বা পাঠানোর প্রশ্নই উঠে না। প্রকৃতপক্ষে পত্রিকায় অতিরঞ্জিত করে লেখার কারণে আমাদের সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংবাদে বলা হয়েছে শতাধিক স্থানে আমরা মাটি কাটছি যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সংবাদে আরো বলা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনকে হাতের মুঠোয় রেখে দিন-দুপুরে এবং মধ্যরাতে মাটি কাঠা অব্যাহত রেখেছে নজরুল-হামজা বাহিনী। এ কথা যে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রকাশিত সংবাদেই তার উল্লেখ রয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে ২/৩টি স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। তাহলে প্রশাসনের সাথে যোগসাজস কথাটি হাস্যকর ছাড়া আর কি হতে পারে। আমরা আমাদের স্ত্রী, পুত্র নিয়ে সৎ উপায়ে জীবন জীবিকা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমরা মনে করি নবীগঞ্জের সকল সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের দিক বিবেচনা করে সঠিক সংবাদ প্রকাশ করবেন। পরিশেষে আবারো প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
নজরুল ইসলাম চৌধুরী
আমীর হামজা
লিটন মিয়া
মনু মিয়া
আনোয়ার খাঁ
সুবেদ আলী
রাসেল মিয়া।


     এই বিভাগের আরো খবর